সিন্ডিকেট ও কালোবাজারি রোধে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে : অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল মালেক বলেছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্য মজুদ রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে। প্রতিবছর পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নয়, কাপড় ও অন্যান্য পণ্যের মূল্যও অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করার মাধ্যমে বাজারকে অস্থিতিশীল করে রাখে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এ বিষয়টি বিবেচনায় এনে অভিযানের বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর। সকল পণ্যের অবাধ সরবরাহ নিশ্চিতসহ মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নগরীর ৪০টি বাজার, মার্কেট ও শপিংমল গুলোতে জেলা প্রশাসনের অভিযান চলমান রয়েছে। এবার সিন্ডিকেট ও কালোবাজারি রোধে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে। এজন্য সকল এজেন্সি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

বুধবার দুপুরে আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অবাধ সরবরাহ ও কাপড়ের মূল্যসহ সকল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আবুল বশর চৌধুরী, চিটাগাং উইমেন চেম্বারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবিদা মোস্তফা, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মো. নওশাদ খান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুমাইয়া নাজনীন, রেয়াজউদ্দিন বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. ছালামত আলী, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালেহ আহমদ সুলেমান, বিপণি বিতানের সভাপতি মো. সগির, পাহাড়তলী বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, বকসির হাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ, ক্যাব সদস্য মো. মোস্তফা কামাল, এম এ আউয়াল শাহীন, জান্নাতুল ফেরদৌস, সাহেনা চৌধুরী, ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির উদ্দির মাহমুদ প্রমুখ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় রমজানকে টার্গেট করে ভেজাল খাবার প্রতিরোধ করা হবে। প্রত্যেক পাইকারি ও খুচরা দোকানে পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ের তালিকা টাঙিয়ে রাখতে হবে। সরবরাহের অজুহাতে কালোবাজারি কর্তৃক কোনো পণ্যের মূল্য যাতে বৃদ্ধি না পায় সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ভোক্তারা যাতে সহনীয় মূল্যে প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারে সে বিষয়েও নজরদারি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে কাপড় সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্য বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরা ফায়দা লুটে। এ ধরনের সংবাদ পাওয়া গেলে দায়ী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় বাজার মনিটরিং কমিটিতে ফায়ার সার্ভিস ও কাস্টমসের একজন করে প্রতিনিধি রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights