সিরাজের জীবনের অজানা গল্প

অনলাইন ডেস্ক
ভারতীয় তারকা পেসার মোহাম্মদ সিরাজের ৩০তম জন্মদিন ছিল ১৩ মার্চ। এদিন তার জীবনের অজানা কিছু গল্প নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছে বিসিসিআই।

বিসিসিআইয়ের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে দেওয়া ওই ভিডিওটি শুরু হয় এভাবে— অভাবের তাড়নায় ২০১৯-২০ সালে সিরাজ ভেবেছিলেন ক্রিকেটই ছেড়ে দেবেন পুরোদমে। একসময় ক্যাটারিংয়ের কাজও করেছেন। এভাবে ধীরে ধীরে তার বর্ণনা প্রবেশ করে ঘটনার আরও গভীরে। পুরো ভিডিওতে হায়দরাবাদে সিরাজের পছন্দের জায়গাগুলো ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে।

ডানহাতি এই তারকা পেসার বলেন, ‘হায়দরাবাদে নামলেই প্রথমে বাড়ি ফেরার কথা ভাবি। তারপর ঈদগাহ ময়দানে যাই। কারণ, বিশ্বে যেখানেই যাই না কেন, ঈদগাহ ময়দানের মত শান্তি কোথাও পাই না। এখান থেকেই আমি খেলা শুরু করেছিলাম। প্রথমে টেনিস বল দিয়ে বোলিং শুরু করি, এরপর জেলা দলের সঙ্গে খেলেছি। যদিও ওই সময় এলাকার বাইরে একা যেতে অনুমতি দিতো না পরিবার, বন্ধুর নাম বলে বের হতে হতো।’
নিজের অতীত স্মৃতি তুলে ধরে সিরাজ আরও বলেন, ‘ক্যাটারিংয়ে কাজ করতাম। বাড়ির লোকজন পড়তে বলতো। কিন্তু আমার ক্রিকেটটাই বেশি ভালো লাগতো। ভাড়াবাড়িতে থাকতাম, যেখানে বাবাই ছিল একমাত্র রোজগারের উৎস। তাই ক্রিকেট থেকে রোজগার হলে ভালো লাগতো। সেখান থেকে ২০০ টাকা পেলে, সেটাতেই আমার মন ভরে যেত। পুরো টাকা অবশ্য খরচ করতাম না। ১০০-১৫০ টাকা তো বাড়িতেই দিয়ে দিতাম। একবার তো রুমালি রুটি বানাতে গিয়ে হাতই পুড়ে গিয়েছিল। তবে তাতে কোনো আক্ষেপ নেই। কারণ কষ্ট করেছি বলেই আজ এই জায়গায় আসতে পেরেছি।’

এভাবে পর্যাপ্ত অর্থ না মেলায় একপর্যায়ে খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন সিরাজ, ‘২০১৯-২০ সালে তো ঠিক করে ফেলেছিলাম, খেলাটাই ছেড়ে দেব। কিন্তু সত্যি বলতে কী, কঠোর পরিশ্রম করলে কোনোদিন তা বৃথা যায় না। সেদিন ফল না পেলেও, আজ হোক বা কাল, পরিশ্রম আপনার কাজে লাগবেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights