স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:
বরিশাল সদর উপজেলার কর্নকাঠী এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার রায়ে আসামি মো. জসিম হাওলাদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও ৬ মাসের দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওায় এই মামলার অপর আসামিকে বেকসুর খালাশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডিত জসিম ওই গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় সে পলাতক এবং খালাশপ্রাপ্ত কুদ্দুস হাওলাদার ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী হুমায়ন কবির জানান, আসামী জসিম এবং ধর্ষিত স্কুল ছাত্রী (১৬) পরস্পারের আত্মীয়। এই সুবাদে প্রায়ই ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো সে। ২০১২ সালের ১৮ অক্টোবর কিশোরীর বাবা রিক্সা চালাতে এবং মা প্রতিবেশীর বাড়ি যায়। ছোট বোনও স্কুলে ছিলো। এই সুযোগে জসিম ওই ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ সময় জসিমের সহযোগী পাহাড়া দেয়।
এ ঘটনায় ২৫ অক্টোবর মেট্র্রোপলিটনের বন্দর থানায় নামধারী ২ জন এবং অজ্ঞাতনামা দুই জনকে আসামী করে মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। করে। বন্দর থানার এসআই মো. আলমগীর হোসেন একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর জসিমকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দেন। আদালতের বিচারক মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন (অভিযোগ) গঠন করেন। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে উপরোক্ত রায় দেন বিচারক। রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত জসিম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাঁজা এবং গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
মামলা দায়েরের ১১ বছর পর এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি ফয়জুল হক ফয়েজ।