হজে গেলেন প্রতারণার শিকার সেই ৫৩৮ জন

অনলাইন ডেস্ক

প্রতারণার শিকার সেই ৫৩৮ হজযাত্রীর সবাই হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তাদের হজে পাঠানোর দায়িত্ব নেয় হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।

তিন ধাপে তাদের সৌদি পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বুধবার সর্বশেষ ধাপে সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ৩ শতাধিক যাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।

হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, এসএন ট্রাভেলসের প্রতারিত ৫৩৮ জনকে তিন ধাপে হজে পাঠানো হয়। কোনো হজযাত্রী বিপদে পড়লে তার পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ববোধ থেকেই হাব এই উদ্যোগ নেয়। হজযাত্রীদের ভিসা, টিকিটসহ সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করেছি। তারা হজে যেতে পারছেন—এটাই সুসংবাদ।
হাবের মধ্যস্থতায় সৌদিতে সেই ৮২৩ যাত্রী

৯ লাখ রিয়াল নিয়ে সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন কোবা এয়ার ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. মাহমুদুর রহমান এবং তার ছেলে ইউরো ও আহসানিয়া হজ মিশনের মালিক সাদ বিন মাহমুদ। তাদের অধীনে ৮২৩ হজযাত্রীর ১ জুন সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মালিক আটক হওয়ায় ওই তিন হজ এজেন্সির অধীনে নিবন্ধিত ৮২৩ জনের হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। পরে হাবের মধ্যস্থতায় তাদের সৌদিতে পাঠানো হয়েছে। ২, ৪ ও ১৩ জুন তিনটি ফ্লাইটে ৬৮৫ জন এবং সর্বশেষ ১৪ জুন বাকি ১৩৮ জনকে সৌদিতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, সৌদি পুলিশের হাতে মালিকেরা আটক হওয়ার পর থেকে ৮২৩ হজযাত্রীর যাত্রার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। আমরা শুরু থেকে সবাইকে হজে পাঠানোর বিষয়ে আত্মপ্রত্যয়ী ছিলাম এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করি। বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়, মক্কা হজ মিশন ও সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights