হত্যায় নেতৃত্ব দেয়া সজীব ও ইফতি তিন দিনের রিমান্ডে
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় যুবক মিলনের ১০ টুকরো মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী না দেয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজীব ও ইফতির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার সদর আমলি আদালত এ আদেশ দেন।
সদর আদালতের জিআরও এসআই ইস্কান্দার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, এরমধ্যে সজীব ও ইফতিকে রিমান্ড শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার সকালেই আদালতে আনা হয়। দুপুরে শুনানি শেষে আদালত তাদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাজুমোহন সাহা ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন জানিয়েছিলেন।
আজ মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় এসআই ইস্কান্দার বলেন, আসামি দুই জন এখনো আদালতের হাজতখানায় আছে। আদালতের লিখিত আদেশ এখনো প্রিন্ট হয়নি। আদেশ আসার পর তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় গ্রেফতার ৬ জনের মধ্যে ৪ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। এরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার দেশওয়ালী পাড়ার বাসিন্দা কাজী ফরহাদ হোসেনের ছেলে কাজী লিংকন হোসেন (২৩), সদর উপজেলার বোয়ালদাহ গ্রামের বাসিন্দা রফিক প্রামানিকের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা জনি আহমেদ (১৯), কুমারগাড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ (২৫) এবং হাউজিং এস্টেট ডি ব্লকের বাসিন্দা সাইদুল ইসলামের ছেলে মো: সজল ইসলাম (১৯)।
আর আড়ুয়াপাড়া হরিবাসর মোড়ের ২২৯ নং বাড়ির বাসিন্দা মৃত: মিলন সেখের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এসকে সজীব (২৪) ও হাউজিং সি ব্লক ২৫৩নং বাড়ির বাসিন্দা আওলাদ খানের ছেলে ইফতি খান (১৯) আদালতে জবানবন্দী দিতে রাজি হননি। তাদের তিন দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিল আদালত।
গত ৩১ জানুয়ারি নিখোঁজ হন যুবক মিলন। তিন দিন পর ৩ ফেব্রুয়ারি পদ্মার চর থেকে মিলনের ১০ টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা করেন নিহতের মা শেফালি খাতুন।