১২ মাসে টেকনাফে অপহরণের শিকার ১০৭ জন
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা এলাকায় দুই কিশোরসহ পাঁচজনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী পাহাড়ি এলাকায় নিজেদের ক্ষেত পাহারা দেওয়ার সময় তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সবমিলিয়ে গত এক বছরে টেকনাফে অপহরণের শিকার হয়েছেন ১০৭ জনের বেশি মানুষ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মুক্তিপণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের অপহরণ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভোরে ৫ জন কৃষককে অপহরণ করে গহীন পাহাড়ের দিকে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা।
অপহৃতদের মধ্যে মোহাম্মদ শামীম (১৮), মোহাম্মদ রাফিক (১৮) ও মোহাম্মদ নুর (২২) নামের তিনজন রয়েছেন, অপর দুজন কিশোর। তারা সবাই হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, টেকনাফের পাহাড়ি এলাকা থেকে প্রায়ই কৃষকসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের অপহরণ করা হচ্ছে। অপহরণের পর তাদের মারধরসহ নির্যাতন করে মুক্তিপণের জন্য পরিবারের কাছে ভিডিও বার্তা পাঠানো হয়। মুক্তিপণ না দিলে অপহৃতদের হত্যার হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। এসব ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ‘অপহরণের বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি, কেউ অভিযোগ করেননি। তবুও পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’
উল্লেখ্য,গত ১২ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০৭ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে ৫৭ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৪৭ জন মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।