২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায় ছাত্রলীগ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
গণহত্যা দিবস হিসেবে ২৫ মার্চকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিলে বিষয়টি আরও বেশি মানুষের জন্য সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ হতো।
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। গণহত্যার ‘সাংবিধানিক এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিদান, ‘গণহত্যা অস্বীকৃতি আইন’ প্রবর্তন ও পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা এবং জামায়াত-শিবিরকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করার দাবিতে এই মানববন্ধন করে ছাত্রলীগ।
মানববন্ধনে সাদ্দাম বলেন, গণহত্যার বিষয়টি বাংলাদেশের সংবিধানে আলাদা একটি অনুচ্ছেদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। আমরা যখন দেশীয় আইনে এটি নিশ্চিত করতে পারব তখন আন্তর্জাতিক আইনে নিশ্চিত করা আমাদের জন্য সহজ হবে। ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের ঘোষণাও দেন তিনি।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। যেভাবে জার্মানির গেস্টাপো বাহিনী রাজনীতি করার সুযোগ পায় না, তেমনি জামায়াত-শিবিরকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, বাংলাদেশে যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। অচিরেই বাংলার মাটিতে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন