চট্টগ্রাম: দর্শকের দেখা মিলল সাগরিকা স্টেডিয়ামে
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের ওয়ানডের শেষ ম্যাচ ছিল চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সে ম্যাচে গ্যালারিতে দর্শক ছিল না বললেই চলে। যা ছিল তাও মাত্র হাতেগোনা। এবার দর্শক খরা কেটে উঠেছে জহুর আহমদ স্টেডিয়াম। আবারও গ্যালারি ভর্তি দর্শক নিয়ে ফিরেছে সাহগরিকা জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সাগরিকা জহুর আহমদ স্টেডিয়ামে মাঠের বাইরে ও ভিতরে দেখা যায় দর্শকদের লম্বা লাইন।
জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক ঘুরে দেখা যায়, স্টেডিয়ামের বাইরে দর্শকদের লম্বা লাইন। কেউ এসেছেন বাংলাদেশের জার্সি গায়ে, কারো হাতে উড়ছে লাল সবুজের পতাকা। আবার কারো হাতে রয়েছে সাকিব-তামিম বন্দনা সমৃদ্ধ ফেস্টুন।
খেলা দেখতে আসা আনোয়ারা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, মোবাইলে বা টিভিতে খেলা দেখার চেয়ে মাঠে বসে খেলা দেখার মজা আলাদা। তাই বন্ধুদের নিয়ে মাঠে খেলা দেখতে এসেছি। তবে মাঠে প্রচন্ড রোদ।
ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, আমরা অনেক দূর থেকে খেলা দেখতে এসেছি। বাংলাদেশের খেলা চলতেছে, তাও আবার চট্টগ্রামে মাঠে আসব না তা কি হয়। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ চট্টগ্রামে যখনই হয় তখনই স্টেডিয়ামে ছুটে আসি প্রিয় দলের খেলা দেখার জন্য। বাংলাদেশ এবারও জয়ী হবে।
এদিকে খেলা শুরু হওয়ার আগে থেকে টিকিট কাউন্টালে ছিল দর্শকদের টিকিট নেওয়ার ভিড়। অনেকে খেলা শুরু হওয়ার পরও টিকিট কাউন্টারে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পাশাপাশি মাঠে প্রবেশ প্রধান ফটকে দর্শকদের দীর্ঘ লাইন। মাঠে বসে প্রিয় দলের খেলা উপভোগ করার জন্য দীর্ঘ লাইন ধরে আছেন তরুণরা।
সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে দর্শক না থাকলেও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দর্শকদের আগমনে কপাল খুলেছে ভ্রাম্যমান প্ল্যা-কার্ড ও পতাকা বিক্রেতাদের। সাগরিকার মোড় থেকে যত সামনে যাওয়া যাবে ততই দেখা যায় পতাকা বিক্রেতাদের। স্টেডিয়ামের একদম প্রধান গেইট আসলে চোখে পড়বে সারি সারি প্ল্যা কার্ড ও জার্সি বিক্রেতাদের। তবে এবার দর্শক যেমন এসেছে, তাদের বিক্রিও বেড়েছে।
প্ল্যা কার্ড বিক্রেতা সজিব মিয়া বলেন, খেলা শুরু হয়েছে অনেক আগে এখনো প্ল্যা-কার্ড আর পতাকা নিয়ে যাচ্ছে। স্টেডিয়ামে ডুকার আগেই সবাই লাল সবুজের পতাকা ফেরি করছেন। গত ম্যাচে বিক্রি না হলেও এবার ভালো বিক্রি হচ্ছে।