১৪ জন নাগরিকের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ
অনলাইন ডেস্ক
একজন সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু হওয়ার পর দেশী-বিদেশী কিছু সংগঠন বিষয়টিকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কল্পিত তথ্য পরিবেশন করে বিশ্বের সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হওয়ায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ১৪ জন নাগরিক।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ প্রেরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে সম্প্রতি একজন সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু হওয়ার পর দেশী-বিদেশী কিছু সংগঠন বিষয়টিকে নিয়ে অত্যন্ত ন্যাক্কার জনকভাবে বাংলাদেশ বিরোধী ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের বিরুদ্ধে কল্পিত তথ্য পরিবেশন করে বিশ্বের সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তথাকথিত কিছু মানবাধিকার সংগঠন আশ্চর্যজনক ভাবে এই মিথ্যাচার রচনায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এই সংগঠনগুলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে মানবধিকার লঙ্ঘন তুল্য করে বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে হয় প্রতিপন্ন করতে তৎপর। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধকে কালিমালিপ্ত করতে ও বাংলাদেশের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলতে মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারের সম্মুখীন করার মত ঔদ্ধতপূর্ণ উচ্চারণ করছে। যা দেশের সার্বভৌমত্বের উপর সরাসরি আক্রমণ।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের কতিপয় কংগ্রেস সদস্য বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মানবধিকার লঙ্ঘন ও অগণতান্ত্রিক আচরণের কথা উল্লেখ করে মার্কিন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেংশন বা অবরোধ দেয়ার প্রস্তাব করেছে। যা শুধু ন্যাক্কারজনকই নয় এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রর সার্বভৌমত্বের উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ বলে আমরা বিবেচনা করি।
দেশী-বিদেশী চক্রের এই ধরণের চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের ক্ষোভ ও তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছি।
আমাদের স্মরণে আছে যে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে পাকিস্তান কর্তৃক পরিচালিত জেনোসাইড, গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধকে তৎকালীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার শুধু সমর্থনই করেনি, পাকিস্তান সরকারকে নানা ধরণের সাহায্য অব্যাহত রেখে তারাও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘন কে সহযোগিতা করেছে। তবে একথা ধন্যবাদের সাথে উল্লেখযোগ্য যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ, শিল্পী ও পেশাজীবী সম্প্রদায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করে গণহত্যা ও জেনোসাইডের বিরুদ্ধে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছিলো।
বাংলাদেশের জনগণ বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে মানবতার জয় নিশ্চিত করে। ২০২৩-২৪ এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে বাংলাদেশে যেভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, সেই যড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেশপ্রেমিক জনগণ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
বিবৃতিদাতারা হলেন ১) অনুপম সেন। ২) রামেন্দু মজুমদার। ৩) সারওয়ার আলী। ৪) শ্যামলী নাসরিন চৌধুরি। ৫) আবেদ খান। ৬) শফি আহমেদ। ৭) মুনতাসীর মামুন। ৮) শাহরিয়ার কবীর। ৯) নাসির উদ্দীন ইউসুফ। ১০) ম. হামিদ। ১১) শ্যামল দত্ত। ১২) গোলাম কুদ্দুছ। ১৩) কাজী মুকুল ও ১৪) আহকামউল্লাহ।