‘বন্দরের নেওয়া প্রকল্প ভূমিকা রাখবে জিডিপি ও রির্জাভে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই মহেশখালী গভীর সমুদ্র বন্দর, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দরের নেওয়া নানা প্রকল্প চালু হবে। এ প্রকল্পগুলো দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। যা সরাসরি প্রভাব পড়বে জিডিপি ও দেশের রিজার্ভে। একই সাথে বৃদ্ধি পাবে বৈদেশিক আয়। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিয়মকালে এ আশার কথা জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য মো. শহীদুল আলম, পরিচালক মো. মমিনুর রশিদ, সচিব মো. ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রধান গেটওয়ে হিসেবে কাজ করছে। ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য চাহিদা, আঞ্চলিক যোগাযোগের ভৌগোলিক অবস্থানগত গুরুত্ব এবং বন্দর কেন্দ্রিক উন্নয়ন চিন্তা বন্দরের গুরুত্ব বাড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। এরই মধ্যে সরকার নানান প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যার মধ্যে বন্দরে ১০ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভেড়ানো, ইউরোপের সাথে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, বহির্নোঙরের আওতা বৃদ্ধি, ভিটিএমআইএস, ডিজিটালাইজেশন, কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের অত্যাধুনিক কি সাইড গ্যান্ট্রি ক্রেন সংযোজনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, ডিসেম্বরে বন্দরের নতুন কেমিক্যাল শেড চালু করা সম্ভব হবে। পিসিটি পরীক্ষামূলক চলছে। বে টার্মিনাল ও ব্রেক ওয়াটারের ডিজাইনের কাজ চলছে। আগামীতে সাড়ে ১১ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ২৪ ঘণ্টা অপারেশন করা সম্ভব হবে। চলতি বছরের মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম জেটি নির্মাণের কাজ শুরু হবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ আগামী আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে চালু করার পর্যায়ে যাবে।

তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, করোনা মহামারী এবং বিশ্ব অর্থনীতির প্রত্যাশিত গতিকে মন্থর করলেও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে তেমন প্রভাব ফেলেনি। বরং কার্গো হ্যান্ডলিং এবং আয় বেড়েছে। জুন মাসে এ বন্দর দিয়ে ৫০ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে, যার ৮৪ শতাংশ তৈরি পোশাক। বন্দরের কাজ সেবা দেওয়া। চট্টগ্রাম বন্দরে দিন নেই, রাত নেই, শুক্রবার ছুটির দিন নেই। ২৪ ঘণ্টা সাত দিন সচল থাকে। আমাদের বন্দর সারা বিশ্বে সমাদৃত। বিভিন্ন দেশ ব্যাপক বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে। আগামী তিন বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ৫-৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে আশাকরি। একই সঙ্গে নতুন প্রযুক্তি আসবে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights