কৃষকের জমিতে রঙের মেলা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

প্রথম দেখায় মনে হবে কোনো ফুল বাগান। সবুজের মাঝে ফুটে আছে গোল গোল ফুল। কোনোটি হলুদ কোনোটি বেগুনি রঙের। কাছে গেলে ভুল ভাঙ্গবে। এগুলো রঙিন ফুলকপি।

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার শিবপুর গ্রামের মাঠে এই দৃশ্য দেখা যায়। জেলার ১৭টি উপজেলায় জনপ্রিয় হচ্ছে রঙিন ফুলকপি চাষ। চাহিদা বেশি ও স্বাদ ভালো হওয়ায় ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। আগামীতে তারা আরও বেশি জমিতে চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।

শিবপুর মাঠে গিয়ে দেখা যায়, পাশের গ্রামের উৎসুক মানুষ রঙিন ফুলকপি জমির পাশে ভীড় করেছেন। কেউ ফুলকপি কিনতে এসেছেন। কেউ জানতে এসেছেন কোথায় এর বীজ পাওয়া যায়। অনেকে ফুলকপি ধরে দেখছেন। হাত দিয়ে পরীক্ষা করছেন-রঙ আসল না কৃত্রিম!
শিবপুর গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, দেড় যুগ ধরে সবজি চাষ করি। এবার প্রথম ১৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। প্রথমে মানুষ হাসাহাসি করেছে, ভালো ফলন হবে না বলে মন্তব্য করেছে। ফলন দেখে এখন অনেকে চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রতিটি ফুলকপি বড় গুলো ৭০-৮০ টাকা, ছোট গুলো ৪০-৫০ টাকা ধরে বিক্রি করছি। বৃষ্টিতে কিছু সমস্যা হয়েছে, না হলে আরও ভালো ফলন পেতাম।

স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই উপজেলায় শিবপুরে প্রথম রঙিন ফুলকপির চাষ হয়েছে। ফুলকপির চাষ দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহ প্রকাশ করছেন। সাধারণ ফুলকপির চেয়ে এর দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেন, আমরা কয়েকজন কৃষককে রঙিন ফুলকপির বীজ দিয়েছি। তার মধ্যে শিবপুরের মাঠে ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে রঙিন ফুলকপি চাষের আগ্রহ বাড়ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। দেখতেও সুন্দর। সাধারণ ফুলকপির মতো একই পদ্ধতিতে চাষ করা যায়। খরচ ও পরিশ্রম একই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights