কোয়েল-শ্রাবন্তী-সায়ন্তিকা-শুভশ্রীদের মহানায়ক সম্মাননা প্রদান
দীপক দেবনাথ, কলকাতা প্রতিনিধি
২৪ জুলাই, বাংলা চলচ্চিত্রের বলিষ্ঠ অভিনেতা প্রয়াত মহানায়ক উত্তম কুমারের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সোমবার কলকাতার ধনধান্য অডিটোরিয়াম আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের কারণে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফে ‘মহানায়ক সম্মাননা’ ও ‘বিশেষ চলচ্চিত্র সম্মাননা’ প্রদান করা হলো।
‘মহানায়ক সম্মাননা’ প্রদান করা হয় অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক, শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি, সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, শুভশ্রী গাঙ্গুলী এবং অঙ্কুশ হাজরাকে।
অন্যদিকে ‘বিশেষ চলচ্চিত্র সম্মাননা’ প্রদান করা হয় অভিনেত্রী সোহিনী সরকার, অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং চিত্রপরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীকে।
এদিন তাদের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এ সময় পাশে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, ফিরহাদ হাকিম শহর টালিগঞ্জের এক ঝাঁক তারকা। এরপর পুরস্কার প্রাপকদের সাথে ফটোসেশনে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরে মমতা বলেন, ‘আমরা আজকে উত্তম কুমারের মৃত্যু দিবস পালন করছি। আমি কখনোই উত্তম কুমারের সাক্ষাৎ বা দর্শন পাইনি। কিন্তু আমার একটা ছোট্ট ঘটনা মনে আছে। আমি এবং আমার মা আমাদের বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। রাত সাড়ে নটা নাগাদ দু’জনে গল্প করছিলাম। এসময় রাস্তা দিয়ে কয়েকটি ছেলে-মেয়ে আলোচনা করতে করতে যাচ্ছিল যে, উত্তম কুমার মারা গেছেন। তা শুনে আমরা খুব দুঃখ পেয়েছিলাম। সেই থেকে আমরা কোনোদিন এই দিনটাকে ভুলতে পারি না।’
তিনি আরো বলেন, ‘২০১১ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতার পর থেকে উত্তম কুমারের পরিবারের সবাইকে নিয়ে এবং চলচ্চিত্র জগতকে সাথে নিয়ে আমরা তাকে স্মরণ করে আসছি।’
এদিনের অনুষ্ঠানের সম্মান প্রাপকদের অভিনন্দন জানিয়ে মমতা বলেন, ‘যারা সম্মান পেলেন তাদের জীবনে এই সম্মান অনেক গর্বের। কারণ, মহানায়কের নামটা এই সম্মানের সাথে জড়িয়ে। তাছাড়া উত্তম কুমার তার নিজের দক্ষতায় মহানায়ক হয়েছেন। মানুষ তাকে ভালোবেসে মহানায়ক হিসেবে আপন বলে গ্রহণ করেছেন। চিরদিন তিনি মানুষের মননে থাকবেন।’
মূল অনুষ্ঠানের পরে সংগীত পরিবেশন করেন নচিকেতা চক্রবর্তী, মনোময় ভট্টাচার্য, বাবুল সুপ্রিয়, মিস জোজোসহ বাংলা সংগীত জগতের বিশিষ্ট শিল্পীরা।