দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক মহড়া: উত্তেজনার নতুন মাত্রা

অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের কাছে বিতর্কিত এলাকায় সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। চীনের সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ড জানায়, “হুয়াংইয়ান দ্বীপ” নামে পরিচিত স্কারবোরো শোলে বিমান ও সমুদ্র যুদ্ধ মহড়া পরিচালিত হয়েছে।

এই মহড়া একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ফিলিপাইনের যৌথ সামরিক মহড়ার জবাবে চালানো হয়েছে।

চীন দাবি করেছে, তাদের মহড়া সৈন্যদের পর্যবেক্ষণ ও প্রাথমিক সতর্কতা সক্ষমতা পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে ছিল। চীনের দাবি, তারা দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যাতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং ফিলিপাইনের সামরিক প্রধানরা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, তারা আন্তর্জাতিক আইন এবং নিয়মভিত্তিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ মহড়া এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অবাধ নৌ চলাচল নিশ্চিত করতে পরিচালিত হচ্ছে।

চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তেজনা বেড়েছে, কারণ চীন দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরো এলাকাজুড়ে দাবি করছে, যদিও একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল এই দাবির কোনো আইনি ভিত্তি নেই বলে রায় দিয়েছে।

২০১২ সালে চীন কোস্টগার্ড জাহাজ ব্যবহার করে স্কারবোরো শোলের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যা দীর্ঘদিন ধরে ফিলিপিনো জেলেদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল। এছাড়াও, ফিলিপাইনের একটি যুদ্ধজাহাজ দ্বিতীয় থমাস শোলে আটকে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

গত মাসে, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা ঘোষণা করে। চীন এর প্রতিক্রিয়ায় জানায়, বাইরের দেশগুলোকে নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি করা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

দক্ষিণ চীন সাগরে চীন, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই এবং তাইওয়ানের মধ্যে বিভিন্ন সীমানা বিরোধ রয়েছে। এ অঞ্চলকে মার্কিন-চীন আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটি স্পর্শকাতর স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মার্কিন নৌবাহিনী এবং যুদ্ধবিমান গত কয়েক দশক ধরে ফ্রিডম অফ ন্যাভিগেশন মিশনে নিয়মিত টহল দিয়ে আসছে, যা চীন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights