অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংসস্তুপে পরিণত সাজেক
ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি
রাঙামাটির সাজেকের সবুজ পাহাড় ছিল প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য। যার টানে দূর দুরান্ত থেকে ছুটে যেতো পর্যটকরা। সে বিষ্ময়কর প্রকৃতির বৈচিত্র্য এখন কয়লা আর ছাই। এক কথায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত সবুজ পাহাড়ের মেঘের স্বর্গরাজ্য সাজেক।
অন্যদিকে কিভাবে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্যও পায়নি ফায়ার সার্ভিস। এখনো নির্ধারণ করা হয়নি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। তবে সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিতকরন আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে হঠাৎ রাঙামাটির বাঘাউছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেক ভ্যালীর একটি রিসোর্টে আগুন লাগে। মুর্হূত্বে সে আগুন দানবে রূপ নিয়ে তাণ্ডব চালাতে থাকে পুরো সাজেক ভ্যালীতে। একে একে চোখের সামনে সব রিসোর্ট, হোটেল- মোটেল , রেস্টুরেন্ট , দোকান ও স্থানীয়দের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। চোখের পলকে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সাজেকের ৩১টি রিসোর্ট, ৩৫টি বসতঘর, ৭টি রেস্টুরেন্ট ও ১২টি স্থানীয়দের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। আগুন ছড়িয়ে পরে আশপাশের পাহাড়ে। পুড়ে যায় বন জঙ্গল।
রাঙামাটি সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের সভাপতি সূপনা দেব বর্মন বলেন, এমন ঘটনা কেউ কখনো আশা করে না। কি থেকে কি হলো কিছু বুঝার আগেই যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার মতো হয়ে গেছে সাজেক। আগুন এতোটাই ভয়াবহ ছিল নিজেদের প্রাণ রক্ষা করার দায়িত্ব আগে ছিল। তাই কেউ কোন জিনিসপত্র উদ্ধার করতে পারেনি।
এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ধারণের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। একই সাথে তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭দিন মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নিদের্শ প্রদান করা হয়।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুজ্জামান বলেন, সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহীতকরণ আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। পর্যটকরা চাইলে সাজেক ভ্রমণ করতে পারবে। সাজেক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনের পর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। পর্যটকরা নিরাপদে আছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল রিসোর্ট ও মোটলের পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থাসহ খাবার ও সহায়তা দিয়েছে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন।