গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। তবে বিষয়টি সহজ নয়। কারণ, অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্র ওই সময়ে পাকিস্তানকে সহায়তা দিয়েছিল। বাংলাদেশ এ বিষয়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’

আজ শনিবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এশিয়া জাস্টিস অ্যান্ড রাইটস-এর প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার প্যাট্রিক বারজার্স। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিযয়ার আলম, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান এমপি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী মোজাম্মেল হক আরো বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এতো সংক্ষিপ্ততম সময়ের মধ্যে এতো বেশিসংখ্যক লোককে হত্যা করার নজির নেই। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেনোসাইডের সেই নৃশংসতার নজির সৃষ্টি করেছে। হত্যা, ধর্ষণ, লুঠতরাজ, উৎখাত, উৎপীড়নসহ একটি জাতিকে বিপন্ন করার সকল চেষ্টাই তারা করেছে। স্বাধীনতার পর ৫২ বছর অতিক্রান্ত হলেও এই নৃশংসতার ঘটনাকে জেনোসাইড হিসেবে জাতিসংঘ আজো স্বীকৃতি দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয়ভাবে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি না পেলেও আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্ববাসীর শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights