জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়, টেকনাফে নারী-শিশুসহ ৩০ রোহিঙ্গা উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে ‘জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের’ সময় নারী ও শিশুসহ ৩০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা হয়েছিল বলে পুলিশের ভাষ্য। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানান টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। তবে অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারী দলের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ১৫ পুরুষ, তিনজন নারী ও ১২ জন শিশু রয়েছে। তারা উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‌‘সকালে ওই এলাকার এক ব্যক্তির বসতঘরে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের খবর পাওয়া যায়। পরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিন থেকে চারজন পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করা হয়।’

উদ্ধার হওয়াদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে ওসি বলেন, ‘মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে দালাল চক্রের লোকজন সেখানে তাদের জড়ো করেছিলেন। পরে তাদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়।’ এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি গিয়াস উদ্দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights