টাঙ্গাইলে ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় প্রথম ইমরান হাসান
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী স্পোর্টস লাভারস এসোসিয়েশনের ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে সরকারি ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন মাঠে স্পোর্টস লাভারস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে এ ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ধনবাড়ী নওয়াব এস্টেটের মোতওয়াল্লী আফিফ উদ্দিন আহমাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, স্পোর্টস লাভারস এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট সোলায়মান হোসেন।
স্পোর্টস লাভারস এসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শেরপুরের যুগ্ম জেলা জজ এস এম মাসুদ জামান, ধনবাড়ী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এম আজিজুর রহমান, পৌর বিএনপি’র সভাপতি এস.এম.এ সোবহান, সরকারি ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
ম্যারাথনে প্রথম স্থানকারী ইমরান হাসান বলেন, ‘আমি পাবনা থেকে ধনবাড়ীতে এসেছি। আজকে ম্যারাথনে প্রথম স্থান করেছি। আমি চাই প্রত্যেকটা জেলা ও উপজেলাতে এরকম আয়োজন করা হোক। তাহলে সবাই মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ২০২২ সালে মেকানিক্যাল বিভাগ থেকে ডিপ্লোমা পাশ করেছি। এ পর্যন্ত ৭০ এর বেশি ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছি। সবগুলোই প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছি। আমি ৪ বছর ধরে ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করে আসছি। খেলাধুলার পাশাপাশি ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করি। পরিবারের সবাই আমাকে সাপোর্ট করে এজন্য আমি এতোদূর পৌঁছাতে পেরেছি।’
দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার রাহিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি ৯ বছর ধরে পুলিশে কর্মরত আছি। বর্তমানে বাংলাদেশ জেল পুলিশ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্টে কর্মরত রয়েছি। এর পাশাপাশি ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করি। আমি এ পর্যন্ত ৩২টি ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছি। ৫টি প্রথম, ১১ টিতে দ্বিতীয় ও ৫টিতে তৃতীয় হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে খুলনাতে ১০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ৩৬ মিনিট সময় লেগেছিল। তখন প্রথম স্থান অধিকার করেছিলাম। গত সপ্তাহে চাঁদপুরে প্রথম হয়েছি ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে সময় গেলেছিল ১৭ মিনিট। আজকে সাড়ে ১১ কিলোমিটার ম্যারাথনে ৪০ মিনিট সময় লেগেছে। আজকে আমি দ্বিতীয় হয়েছি। আমি চাই এরকম আয়োজন প্রতিবছর করা হোক।’
স্পোর্টস লাভারস এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট সোলায়মান হোসেন বলেন, তরুণ প্রজন্মকে মাদকসহ অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলাকে ছড়িয়ে দিতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ও সুস্থ রাখতে মুঠোফোন এবং ইন্টারনেট জগত থেকে খেলার মাঠে আনতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও এই সংগঠনটি শিক্ষা ও সংস্কৃতি অঙ্গনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
সাড়ে ১১ কিলোমিটার ম্যারাথনে ৪০০ জন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। পাঁচ জনকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়াও পরে বাচ্চাদের খেলাধুলা, কাবাডি, রশি টানাটানি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।