ডুয়েটে এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে সেমিনার, কী-নোট স্পিকার বোয়িং-এর সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার

গাজীপুর প্রতিনিধি
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ “অ্যান ইন্সপায়ারিং জার্নি অব এ সিনিয়র এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার: ফ্রম ডুয়েটস ফার্স্ট ব্যাচ টু দ্য বোয়িং কোম্পানি” শীর্ষক একটি সেমিনার বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্য ও মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এবং টেকনোলজি (MIST), ঢাকার ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এয়ার কমডোর ড. মো. হোচ্ছাম-ই-হায়দার (অব.)।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল কবীর ও EEE বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদীন।

সেমিনারে কী-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডুয়েটের প্রথম ব্যাচের কৃতী শিক্ষার্থী, আমেরিকার বোয়িং কোম্পানিতে কর্মরত সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার জনাব খোরশেদ এ. খান। সেমিনারটি আয়োজন করতে সহায়তা করেছে ডুয়েটের “আবেদীন রিসার্চ ল্যাব”।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, “ডুয়েটকে একটি শিক্ষা ও গবেষণাবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে ইতোমধ্যে গবেষণা তহবিল, স্কলারশিপ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠন, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, স্কলারশিপ প্রাপ্তি এবং গবেষণা খাতে যুক্ত হওয়ার জন্য এ ধরনের সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

তিনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি বাস্তবজীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইনসহ অন্যান্য দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্ব দেন এবং ডুয়েটের প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত গবেষণা এবং প্রকাশনার অগ্রযাত্রায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

আমেরিকার বোয়িং কোম্পানির সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার জনাব খোরশেদ এ. খান তাঁর বক্তব্যে ডুয়েটের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে নিজের সংগ্রাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর দিকের ইতিহাস তুলে ধরেন।

এছাড়া তিনি তাঁর কর্মজীবন, একজন এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবচিত্র এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

সেমিনারে তিনি “ক্রিটিক্যাল ডিজাইন প্রক্রিয়া ও গাইডলাইন, ডিজাইন দর্শন, এয়ারক্রাফ্ট ইঞ্জিনের কার্যক্রম এবং এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা” নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

পরবর্তীতে প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে সেমিনারটি শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন এবং তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কী-নোট স্পিকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights