ঢাকাতেও কী মোখার প্রভাব পড়বে? জানালেন আবহাওয়াবিদ
অনলাইন ডেস্ক
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পর বরিশাল বিভাগেও শক্তিশালী ঝোড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দিয়েছে।
রবিবার সকাল থেকেই এসব এলাকায় মোখার অগ্রভাগের প্রভাবে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস শুরু হতে পারে। তবে রাজধানী ঢাকায় ঝড়ের প্রভাব আসতে দুপুর গড়াতে পারে। আর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে কম পড়তে পারে উত্তরাঞ্চলে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে রবিবার দুপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বৃষ্টি চলবে রাত পর্যন্ত। একইসঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইতে পারে। তবে রাজধানীতে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ঢাকায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুর ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, পূর্বে সিডর, আইলা, ইয়াসের মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলো মূলত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে উপকূলে প্রবেশ করেছিল। সারাদেশে ওইসব ঝড়ের প্রভাবে ঢাকাতেও আমরা ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া পেয়েছিলাম। কিন্তু মোখা দেশের কক্সবাজার উপকূলের পাশ দিয়ে যাচ্ছে। ফলে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত এর প্রভাব ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। ঢাকায় দুপুর থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও কয়েক ঘণ্টার জন্য দমকা হাওয়া ছাড়া তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ইতোমধ্যে কক্সবাজারসহ উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি ও হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শনিবার দিবাগত মধ্যরাতেই এই ঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব উপকূলে পড়তে শুরু করেছে। তার ফলে বৃষ্টি ও হালকা বাতাস বইছে। সকাল ৯টার দিকে ঝড়ের অগ্রভাগ উপকূলে উঠে এলে ঝোড়ো হাওয়া শুরু হতে পারে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোয় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে কম পড়তে পারে।