ঢাবিতে চলছে সরস্বতী পূজার প্রস্তুতি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
উৎসবমুখর পরিবেশে আড়ম্বরে সরস্বতী পূজার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যাম্পাসের জগন্নাথ হলে ৭৩টি মণ্ডপে পূজা আয়োজনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬ টায় প্রতিমা স্থাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।
সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী সরস্বতী। বছরব্যাপী জ্ঞানবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক মঙ্গল কামনায় বিদ্যাদেবীর আরাধনা করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা।
ঐতিহ্যগতভাবে জগন্নাথ হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশেপাশে বসবাসরত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পুজার প্রধান স্থল। এ এলাকার পুজার প্রধান আয়োজন জগন্নাথ হলকে ঘিরেই আয়োজন হয়। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পক্ষ থেকে হলের খেলার মাঠজুড়ে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে কারু ও মৃৎশিল্পীদের সাথে হাত লাগিয়েছেন শিক্ষার্থীরাও। পূজা ঘিরে জগন্নাথ হলের দুই পাশের ফটক ও রাস্তায় আলোকসজ্জার কাজও সেরে নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বছরের মত এবারও জগন্নাথ হলের পুকুরের মাঝে বসানোর জন্য দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা তৈরি করছে চারুকলা অনুষদ। চারুকলার ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানে প্রতিমাটি তৈরি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাণী অর্চনা, আরতি ও ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলি মাধ্যমে পুজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
কোভিড-১৯ মহামারীর দাপটে বিগত বছরে ছোট পরিসরে পুজা পালন করা হয়েছিলো। এবছর বড় পরিসরে বিদ্যাদেবীর উপাসনা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ও পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মিহির লাল সাহা। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় প্রতিমা স্থাপনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজার কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর সাড়ে ৭টায় বাণী বন্দনা এবং ৮টা ১০মিনিটে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হবে। এছাড়া, সাড়ে ১১টায় প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে পূজার কাজ শেষ হবে। পূজা সবার জন্য ‘উন্মুক্ত’ থাকবে বলেও জানান তিনি।
জগন্নাথ হল ছাড়াও ছাত্রীদের জন্য রোকেয়া হল, শামসুন্নাহার হল, সুফিয়া কামাল হল, কুয়েত মৈত্রী হলে বীণাপাণির আরাধনায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে বলে গেছে। পুজার নিরাপত্তায় হল চত্ত্বর বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা (ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা) স্থাপন করা হয়েছে।