নিজের মেয়েকে হত্যার পর বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর নাটক

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় নিজ মেয়েকে গলা টিপে হত্যার পর বিদ্যুৎস্পর্শের নাটক সাজান মা পপি খাতুন (২৫)। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মাইশা খাতুনকে (৭) গলা টিপে হত্যার বিষয়টি উন্মোচন হয়। রহস্য উন্মোচনের পর পুলিশ ঘাতক মাকে গ্রেফতার করে। পরে ঘাতক মা পপি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান।

পুলিশ সুপার জানান, শিশু মাইশা তার মায়ের সাথে আলমডাঙ্গার ভোগাইলবগাদী গ্রামে বসবাস করতো। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে শিশু মাইশা খাতুন বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছে বলে প্রচার করে মা পপি খাতুন। সে সময় মাইশার গলায় মোবাইলফোনের চার্জারের তার জড়ানো ছিল। প্রতিবেশিরা মাইশাকে দ্রুত নিয়ে যায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মাইশা মারা গেছে বলে জানান। পাশাপাশি চিকিৎসকরা নিহত মাইশার গলায় দাগ থাকার কথাও পুলিশকে বলেন।

পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, নিহত মাইশা খাতুন বিদ্যুতস্পর্শে মারা যায়নি। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, মাইশাকে তার মা পপি খাতুন গলা টিপে হত্যা করেছে। গত ৫ মে পপি খাতু স্বেচ্ছায় আলমডাঙ্গার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহুরা বেগমের আদালতে হাজির হয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পুলিশ পপি খাতুনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights