প্রতিপক্ষের প্রতিহিংসায় কাটা পড়ল সাড়ে ৮শ’ গাছ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিবাদমান দু’পক্ষের হাতাহাতির ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় সাক্ষী করা হয় আবু হায়াত মৃধাকে। তাকে এ মামলায় সাক্ষী দিতে বারণ করেন প্রতিপক্ষ। আবু হায়াত মৃধা যা ঘটেছে আদালতে সে সাক্ষ্য দেবে বলে জানিয়ে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন রাতের অন্ধকারে আবু হায়াত মৃধার ২৬০ শতাংশ জমির ৫শ’ কলা গাছ, ৩০টি আম গাছ, ৬০টি লিছু গাছ, ৫০টি মেহগুনী গাছ ও ২শ’টি চাম্বল গাছ কেটে ফেলে বলে অভিযোগ উঠেছে।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ আবু হায়াত মৃধা মুকসুদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মুকসুদপুর থানার এসআই শামীম আজ রবিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত আবু হায়াত মৃধা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৪ মাস আগে এলাকার আধিপত্য নিয়ে রিপন মৃধা ও মুরাদ মৃধার সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রিপন মৃধা ৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আমি ও আমার বড় ভাই রুঙ্গু মৃধাকে সাক্ষী করা হয়। এ মামলায় স্বাক্ষ্য দিলে আমার ব্যাপক ক্ষতি করা হবে বলে হুমকি দিয়ে সাক্ষ্য দিতে বারণ করেন মুরাদ মৃধা। যে ঘটনা ঘটেছে, আদালতে আমি সে সাক্ষ্য দেব বলে জানিয়ে দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে কে বা কারা আমার বাগানের সাড়ে ৮শ’ গাছ কেটে ফেলে। এরমধ্যে ২শ’ গাছে কলা ধরেছিল। কলাগুলো কেটে ফালা-ফালা করে দিয়েছে। ধারণা করছি প্রতিপক্ষ মুরাদ মৃধা ও তার লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে আমি মুরাদ মৃধা, মনিরুল মৃধা, আমিনুর মৃধা, নাসির খন্দকার,সাগর খন্দার, ইব্রাহিম ঠাকুর, আদাম ঠাকুর ও শাহীন শেখকে আসামি করে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে মুকসুদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মুরাদ মৃধা বলেন, আমি মুকসুদপুর উপজেলা সদরে বসবাস করি। গ্রামে থাকি না। যেহেতু আমি গ্রামের মাতবরি করি, তাই গাছ কাটার খবর শোনার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে গাছ কেটে বেশ ক্ষতি করা হয়েছে। একটি মামলায় আবু হায়াতকে সাক্ষী করা হয়েছে। এ নিয়ে তাকে আমি কোনো হুমকি-ধমকি দেইনি। বরং এটি মিমাংসা করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এর আগেই গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে আবু হায়াত আমি ও আমার ভাইদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে। রাতে আমি গ্রামে থাকি না, তাই গাছ কাটার সাথে আমি কোন অবস্থাতেই জড়িত নই।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুকসুদপুর থানার এসআই শামীম বলেন, আজ আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেই সঙ্গে ঘটনার তদন্ত করেছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। সেখানে কলা, মেহেগুনী, চাম্বল, লিছু ও আমগাছ কাটা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

What do you like about this page?

0 / 400

Verified by MonsterInsights