প্রতিবাদের মুখে রাবির পোষ্য কোটা বাতিল ঘোষণা

রাবি প্রতিনিধি
সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানের জন্য ১ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদের মুখে এ কোটা সম্পূর্ণ বাতিল ঘোষণা করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাত পৌঁনে ১০টার দিকে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।

উপাচার্য বলেন, নানা নিয়মের বেড়াজালে আমি আবদ্ধ। আমি নিয়মকানুনকে শ্রদ্ধা করি। বিশ্ববিদ্যালয় একটি পরিবার। দায়িত্বে থাকলে সকলের কথা ভাবতে হয়। এই আন্দোলনের বহু আগে থেকেই পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে আমার যৌক্তিক ও নৈতিক অবস্থান ছিল।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা আর থাকছে না। একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এ কোটা সম্পূর্ণ বাতিল করার অঙ্গিকার করছি। যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই এ বছরই এটা কার্যকর করা হবে। এতে কোন কালক্ষেপণ হবে না। আমি যতদিন থাকব এ কোটা আর থাকবে না। তোমাদের অন্য দাবিও এড্রেস করব।

জানা গেছে, ১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভায় সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীর সন্তানের জন্য ১% পোষ্য কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ২ জানুয়ারি এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সকাল ১০টা থেকে প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ফলে দুই উপাচার্য, প্রক্টর, জনসংযোগ প্রশাসকসহ শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী ভিতরে আটকা পড়েন। ভোগান্তি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর ভবনের তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করেন কর্মকর্তারা। ফলে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। রাত ৯টার পর প্রশাসন ভবনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্যসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতারা। আলোচনা শেষে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল ঘোষণা করেন উপাচার্য। ফলে আন্দোলন থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে ৫% কোটা পুনর্বহালের দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স সমিতি। সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ১% কোটার এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা ফেরত চাই। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামী ৬ জানুয়ারি মানববন্ধন, ৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে ২ ঘণ্টা অবস্থান এবং ৮ জানুয়ারি আমরা সর্বাত্মক কর্মসূচি পালন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights