বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে মেঘালয় অবদান রাখতে আগ্রহী
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গভীরতর করতে আগ্রহী ভারতের মেঘালয় রাজ্য সরকার। আজ ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা-এর সঙ্গে তার দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে মুখ্যমন্ত্রী এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মুখ্যমন্ত্রী মেঘালয় রাজ্যে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ ও সম্ভাবনার বিষয়ে হাই কমিশনারকে অবহিত করেন। বিশেষ করে, তিনি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক সামগ্রী, ইলেক্ট্রনিক পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও হিমায়িত খাদ্য আমদানির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। এসময় মুখ্যমন্ত্রী বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খল (গ্লোবাল ভ্যালু চেইন) ও পণ্য বহুমুখীকরণে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া, তিনি মেঘালয়ের পর্যটন শিল্পের বিকাশে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
হাইকমিশনার রহমান ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং এই রাজ্যের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়ানোসহ জনসাধারণের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জানান যে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে সড়ক, রেল ও নদীপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য দু’দেশের সরকার কাজ করছে। তিনি এই অঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে বর্তমান সরকারের সদিচ্ছার কথাও তুলে ধরেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, মেঘালয়ের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এসময় হাইকমিশনার সীমান্ত এলাকায় বন্ধ থাকা ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশনগুলো দ্রুততর সময়ে খুলে দেয়ার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এর আগে বাংলাদেশ হাইকমিশনার গোয়াহাটিতে আসামের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সংগঠনের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। সফরকালে তিনি মেঘালয় সীমান্তে অবস্থিত কয়েকটি স্থল শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন করবেন এবং ডাউকি ও তামাবিলে ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।