বাগেরহাটে নির্মাণাধীন বেড়ীবাঁধে ফাটল

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট শহরের অপর পাড়ে সদর ভৈরব নদী তরিবর্তী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণাধীন বেড়ীবাঁধে কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাঁটল ধরে ধরে বিভিন্নস্থানে ধ্বস নেমেছে। এ দিকে এই রেড়ীবাঁধ নির্মাণে স্থানীয়দের জমি থেকে জোর করে মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় চরগা গ্রামের জামাল শেখ, নূরুল ইসলাম, নাসিমা বেগমসহ এলাকাবাসির অভিযোগ, ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে বেড়ীবাঁধের সংস্কার ও উঁচু করার এ কাজে বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। ঠিকাদার বাঁধের জন্য জোর করে স্থানীয়দের বসতভিটা ও জমি থেকে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। নদীর বালুচর কেটে ও বালু দিয়ে বাঁধ নিমার্ণের অভিযোগ করেছের স্থানীয়রা এমনকি বাঁধের গা ঘেষে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করায় করা হচ্ছে। এই অবস্থায় বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই অনেক স্থানে ফাটল ধরে বাঁধ ধ্বসে পড়েছে।

বাঁধ নির্মাণের ঠিকাদার শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, বিগত ২২ বছর পর এই বাঁধের সংস্কার হচ্ছে। এটা ইমারজেন্সি কাজ। এখানে মাটি কিনে নেওয়ার কোন বরাদ্দ সিডিউলে নেই। গ্রামবাসীর সহযোগীতায় আমরা কাজটা করছি। বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। বাঁধে ফাটল ধরেনি, ধ্বসেও পড়েনি। শিডিইল অনুযায়ী কিছু বালু ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও বর্ষা মৌসুমে অমাবস্যা-পূর্ণিমা জোয়ারে পানির জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষায় বাগেরহাট শহরের অপর পাড়ে সদর ভৈরব নদী তরিবর্তী ভাতছালা থেকে মুনিগঞ্জ ব্রিজ পর্যন্ত ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন কিলোমিটার বেড়ীবাধঁ নির্মান করা হচ্ছে। বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বাঁধটি সংস্কার ৩ থেকে ৫ ফিট উচু করা হচ্ছে। আগামী মাসের মধ্যেই ঠিকাদার শেখ শহিদুল ইসলাম এই প্রকল্পের কাজ শেষ করবেন। ইতিমধ্যেই বাঁধ নির্মাণের কাজ ৫০ ভাগের বেশি শেষ হয়েছে। দরপত্রে বলা আছে, মাটি ও লোকাল ম্যাটেরিয়াল কিছু বালু দিয়ে কাজটি করতে হবে। এর জন্য জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের কোন সংস্থান নেই। বাঁধের কাজ এখনো শেষ হয়নি। নির্মাণের সময় কাদা মাটি থাকায় বাঁধ কিছুটা ডেবে যায়। তবে, বাঁধে ফাটল বা ধ্বসে পড়েনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights