বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকতে স্পিকারের আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক

অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ব্যবস্থায় সকলকে বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই অজ্ঞতাবশত বিরূপ মন্তব্য করছেন।’

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের কেবিনেট কক্ষে ইউএনডিপি আয়োজিত ‘জেন্ডার্ড হেট স্পিচ এবং বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২০২২’ শীর্ষক পরামর্শমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার।

সংসদের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি’র সংসদীয় কর্মসূচি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান কর্মশালার মূল বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন সদস্য ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং কী ট্রেন্ডস অফ জেন্ডার্ড হেট, ইটস ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড পার্লামেন্টস রোল টু কমব্যাট হেট স্পিচ’ বিষয়ে এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০: পার্লামেন্টস রোল টু অ্যাকসিলারেট ইটস ইমপ্লিমেন্টেশন’ বিষয়ে আলোচনা করেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু এমপি এবং ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বক্তব্য রাখেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, যুগযুগ ধরে সমাজে হেট স্পিচ বিদ্যমান ছিল। সমাজ বিবর্তনের সাথে সাথেই বিরূপ মন্তব্যের দৌরাত্ম্য ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ ও দেশ-কাল-পাত্রভেদে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রেসিজমের কালচার শুধুমাত্র আইন দিয়ে প্রতিরোধ করা যাবে না।

তিনি বলেন, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হেট স্পিচ ও রেসিজম সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। শিশুদের নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি-বস্তুকে প্রকৃতভাবে সম্মান প্রদর্শন করা বিষয়ে শিক্ষাদান করতে হবে। পরিবার-সমাজ বা কর্মক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ যেন সমমর্যাদায় কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

হেট স্পিচের উপর বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ অসাধারণভাবে উপস্থাপনের জন্য উপস্থাপককে ধন্যবাদ জানিয়ে স্পিকার বলেন, সমাজে বিরাজমান হেট স্পিচ থেকে পরিত্রাণ পেতে সংসদ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আগামী প্রজন্মের সচেতনতার মাধ্যমেই এদেশে হেট স্পিচমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

কর্মশালায় জাতীয় সংসদ সদস্য ও হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, হাবিবে মিল্লাত, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, বেগম মনিরা সুলতানা, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, এডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, আদিবা আনজুম মিতা, বেগম খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, শবনম জাহান, রুমানা আলী, মোছা: শামীমা আক্তার খানম, মোছা. ডরথী রহমান, এ এম নাইমুর রহমান, ফখরুল ইমাম, আহমেদ ফিরোজ কবির, ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুলসহ সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights