ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগে ভিকারুননিসার শাখাপ্রধান বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অবৈধভাবে প্রথম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগে মো. শাহ আলম খান নামে একজন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি প্রতিষ্ঠানটির মূল দিবা শাখার (বাংলা ভার্সন) প্রধান।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাকে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানানো হয়। একইসঙ্গে তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সেই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, ‌‘২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তিতে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশনা অনুসরণ না করে অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। এতে আপনার (শাহ আলম খান) সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।’
এতে আরও বরা হয়, ‘একজন দায়িত্বশীল শাখাপ্রধান এবং সিনিয়র শিক্ষক হয়ে এমন গর্হিত কাজ করার কারণে বিভিন্ন মহলে ভর্তি কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। জনসম্মুখে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতির মৌখিক নির্দেশক্রমে বিধি মোতাবেক মূল দিবা (বাংলা ভার্সনের) শাখাপ্রধান মো. শাহ আলম খানকে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।’

কেন তাকে চাকরি হতে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হবে না, তার কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। এ বিষয়ে বলা হয়, ‘আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।’

এদিকে, ভিকারুননিসা স্কুলের মূল দিবা শাখা (বাংলা ভার্সন) থেকে শাহ আলম খানকে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করার কথাও জানানো হয় চিঠিতে। একইসঙ্গে তাকে শাখাপ্রধানের দায়িত্বসহ প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম ও কমিটি থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, ভর্তির যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করায় শাহ আলম খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তের পর গভর্নিং বডি এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

অভিযুক্ত শিক্ষক শাহ আলম খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে আমি একা কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি, নিয়েছে ভর্তি কমিটি। ভর্তির সিদ্ধান্তে সবার স্বাক্ষরও রয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights