মিয়ানমারের সঙ্গে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি রাশিয়ার মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের
অনলাইন ডেস্ক
বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি ঠেকাতে সম্প্রতি মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারকে ছয়টি আধুনিক যুদ্ধবিমান দিয়েছে রাশিয়া। এবার দেশটিতে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন!
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং রাশিয়া সফরে গিয়ে মঙ্গলবার রাতে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। পুতিনের জন্য উপহার হিসেবে ছয়টি হাতি নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি! জান্তা সরকারের এই উদ্যোগকে ‘হাতি কূটনীতি’ বলে চিহ্নিত করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। ওই বৈঠকে মিয়ানমারে ছোট মাপের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য দুই পক্ষের প্রাথমিক চুক্তি হয়েছে।
বৈঠকের পরে পুতিন বলেন, “এ বছর আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক মৈত্রীর ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরের ২৫তম বার্ষিকী উদযাপন করছি। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে।”
গত দেড় বছরের গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহী জোটের হাতে দেশের অর্ধেকের বেশি অংশ হারিয়েছে জান্তা। কিন্তু জানুয়ারিতে বিদ্রোহী জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ) চীনের মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তি করায় হ্লাইং সরকার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু বিদ্যুৎ কোম্পানি ‘রোসাটম’ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মিয়ানমারে ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়বে তারা। পরবর্তী সময়ে উৎপাদন ক্ষমতা তিন গুণ বাড়ানোর সুযোগ থাকবে। সূত্র: রয়টার্স