যাপনের যন্ত্রণা
আমি উদাসীন মনে আকাশের দিকে তাকালাম।
দেখলাম –
ভোরের পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যাচ্ছে। মেঘের দল আপন মনে ভেসে বেড়াচ্ছে।
ঐ যে পূর্ণিমার রাতে, চাঁদ তার পুরো শরীর দেখিয়ে পৃথিবীকে আলোকিত করছে।
তারকারাজি আলোর ঝলকানি দেখিয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ছোটাছুটি করছে।
গগন জলসানো সূর্য, রোজ প্রভাতে অভ্র ভেদ করে আলো দিয়ে যাচ্ছে।
ক্লান্ত হৃদয়ে আকাশের দিকে তাকালে অঝোরে বৃষ্টি নামছে।
উপরের প্রকৃতি যেন অলিখিত কোন নিয়ম পালন করে যাচ্ছে আমাদের শান্তির জন্য।
আমার মন শান্ত হলো।
আমি শান্ত মনে মাথা অবনত করলাম।
দেখলাম-
নিরাকার কালো ধোঁয়ারা অক্সিজেন গিলে খাচ্ছে।
কোমল সবুজ পাতা আজ ধূলোয় ধূসর হচ্ছে।
ঐ রাস্তার মোড়ে গিয়ে দেখি-
যানজট গিলে খাচ্ছে সময়ের প্রহর।
নিরীহ মানুষের বিষন্নতা বাড়ছে ফুটপাতের চাদরে।
রাস্তার মোড় থেকে আরেকটু সামনে গিয়ে দেখি-
ভুয়া ডাক্তারের সনদ বিক্রি হচ্ছে শহরের অলি গলিতে।
বাজারের চওড়া দামে মানুষের নাভিশ্বাস হচ্ছে ।
চাকরি না পেয়ে যুবক শূন্য ছুঁড়ে মারছে ঐ সনদের ফাইল।
এবার আমি অশ্রুমাখা চোখে দেখলাম-
জৈনিক ব্যক্তির লাশ কে যেন ভাসিয়ে দিয়েছে নদীর স্রোতে।
কারা যেন ঐ বাসে-ট্রেনে আগুন দিয়ে মারছে নিরীহ মানুষ।
রাজনীতির নামে লুটে খাচ্ছে ওরা দেশের সম্পদ।
সহিংসতার খবরে চাপা কান্না চেঁয়ে যাচ্ছে গোটা দেশে।
লিখিত নিয়ম উপেক্ষা করে আমরা যেন অশান্তির বাহক হচ্ছি।
আমার মন আবার অশান্ত হলো।