যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নেতৃত্বে লড়ছেন সিনেটর শেখ রহমান
অনলাইন ডেস্ক
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান (সিভিক এঙ্গেজমেন্ট অ্যান্ড ভোটার পার্টিসিপেশন) পদে লড়ছেন বাংলাদেশি-আমেরিকান সিনেটর (জর্জিয়া) শেখ রহমান।
গত ২৪ জানুয়ারি সাউথ ক্যারোলিনায় অনুষ্ঠিত পার্টির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামে তিনি বলেন, এখন সময় হচ্ছে আমার মতো ব্যক্তির নেতৃত্বে আসার। ট্রাম্পের মতো মানুষ ক্ষমতায় আসবে আবার চলেও যাবে, কিন্তু আমি থাকব। আমি আপনাদের জন্য লড়াই করে যাবো।
তিনি বলেন, গত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিপর্যয়ের মূল কারণগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। শুধু হোয়াইট হাউজ আর ক্যাপিটাল হীলেই নয়, স্টেট, সিটি ও কাউন্টি প্রশাসনেও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিজয়ের পথ সুগম করতে আমাদের কাজ করতে হবে। আমি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হলে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বিজয় নির্ধারণী ৭টি স্টেটে গিয়ে আপামর মানুষের সাথে মতবিনিময় করব। সামনের দু’বছরের মধ্যে সকল টেরিটরিসহ ৫০টি স্টেট ভ্রমণ করবো এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রতি আমেরিকানদের আস্থার ভিত পুন:প্রতিষ্ঠায় কাজ করব।
এটাই সময়ের দাবি।
তিনি আরও বলেন, ভোটারের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ সুগম করতেও সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ধর্ম-বর্ণ-জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারীরা নীতি-নির্ধারণে অংশগ্রহণের অবাধ সুযোগ পেতে হবে। বিশেষ কোন বর্ণ আর জাতি-গোষ্ঠীর আধিক্য পরিহার করতে পারলেই নাজুক অবস্থা থেকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে উদ্ধার করা সহজ হবে।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের সন্তান শেখ রহমান ২০১৮ সাল থেকে ডিসট্রিক্ট-৫ আসনে জর্জিয়া স্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। এটি তার চতুর্থ মেয়াদের দায়িত্ব। ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পর আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের অভিপ্রায়ে উচ্চ শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন এবং সেন্ট্রাল পাইডমন্ট কম্যুনিটি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯৫ সালে তিনি জর্জিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর কর্মজীবনে পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শনের পাশাপাশি বসবাসকারী এলাকার বিভিন্ন ভাষা ও বর্ণের মানুষের সাথে সম্পর্ক নিবিড় করতে সক্ষম হন।
সেই পথ বেয়েই আফ্রিকান-আমেরিকান ও শ্বেতাঙ্গ আমেরিকান অধ্যুষিত এলাকা থেকে বারবার বিজয়ী হচ্ছেন।
স্পষ্টভাষী শেখ রহমান স্ত্রী আফরোজ এবং এক পুত্র আঞ্জার ও এক কন্যা রাওদাকে নিয়ে নির্বাচনি এলাকাতেই স্থায়ীভাবে বাস করছেন। ডিএনসি নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত আশাবাদী।