রিমান্ডের পর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বহিষ্কার
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তৌফিক খান সাদিদকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষতির জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে বহিষ্কার করা হয় বলে জানা গেছে।
বহিষ্কারের বিষয়টি স্বীকার করে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংঘঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. তৌফিক খান সাদিদকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বালিয়াকান্দি উপজেলা শাখা থেকে বহিষ্কার করা হলো।
সোমবার রাতে বহিষ্কারের আগে দুপুরে ফরিদপুরের পাঁচ নম্বার আমলি আদালতে সাদিদকে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুখালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ননীগোপাল। তাঁহার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। প্রাথমিকভাবে সাদিদ স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় বালিয়াকান্দির আরও বেশ কয়েকজন জড়িত বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলার এহাজার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে মধুখালী থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ডাকাতির মামলাটি করেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. রাসেল মিয়া। তাঁর ডাকাতি হওয়া স্বর্ণের মূল্য ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। উপজেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মামলার এজাহার নামীয় আসামী নয় বলে জানা গেছে। মো. রাসেল মিয়া (৩২) নামে এহাজার নামীয় এক আসামির গ্রেফতারের পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাদিদের নাম বলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান খানের ছেলে। তিনি দাবি করেন, আমার ছেলেকে ষড়যন্ত্রমূলক ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।