রোজায় মাসের বাজার একসাথে না করা ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের আহ্বান
পবিত্র রমজানে মাসের বাজার একসাথে না করে সপ্তাহের বাজার করা, দরিদ্রদের মাঝে নিত্যপণ্যের বাজার যোগান ও সরবরাহ ঠিক রাখতে ইফতার সামগ্রীর পরিবর্তে নগদ অর্থ বিতরণ করা হলে পণ্যের সরবরাহ ও যোগানে ঘাটতি হবে না। দোকানে মূল্য তালিকা না থাকলে, অতিমুনাফা ও হয়রানি করলে এবং অবৈধভাবে মজুত করলে ভোক্তা অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর ১৬১২১, জেলা প্রশাসন ও ক্যাবের নম্বরে জানানোর আহবান জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। রোজায় সাধারণ দরিদ্র মানুষ যেন ইফতার ও সেহেরী স্বাশ্রয়ী মূল্যে খেতে পারেন তার জন্য দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে কিছু করার আহবানও জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ইফতারে ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের আহবান জানিয়েছেন ক্যাব বক্তাগণ।
বৃহস্পতিবার সকালে দেশের বৃহত্তম পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ বাজার, টেরিবাজার ও বক্সিরহাট বাজারে অনুষ্ঠিত বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচিতে উপরোক্ত আহবান জানানো হয়। প্রচারাভিযানকালে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ইফতারে অধিক ভাজাপোড়া, বিদেশি ফলমূল দিয়ে ইফতার করার রীতির কারণে ইফতারে প্লেটভর্তি ছোলা, পিঁয়াজু, বেগুনি, চপ, জিলাপি ও মুড়ি ছাড়া হয় না। কিন্তু রোজাদারের স্বাস্থ্যের পক্ষে এসব খাবার কতটুকু উপকারি? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর সন্ধ্যায় ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। ডায়েবেটিস বা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই সেহরি ও ইফতারে দুধ, ওটস এবং বাদামের মতো হালকা খাবার খাওয়া উচিত। ভাজাপোড়া ও মিষ্টান্নজাতীয় খাবার শরীরে ক্যালরির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যেসব খাবারে তেল ও শর্করাজাতীয় উপাদান থাকে সেসব খাবার পরিহার করাই শ্রেয়। একইভাবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদেরও ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিকল্প হিসাবে খিচুগিও শরীরের জন্য ফলদায়ক। এছাড়াও দেশীয় ফলমূল দিয়ে ইফতার করে রমজানে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা হলে রোজাদারদের জন্য উপকারী হবে বলে মত প্রকাশ করা হয়।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম ও ক্যাব যুব গ্রুপ এর উদ্যোগে গণঅবস্থান ও বাজার ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসুচির অংশহিসাবে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমানের সঞ্চালনায় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্যাব মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, ক্যাব পাহাড়তলীর হারুন গফুর ভূঁইয়া, মহানগর নির্মান শ্রমিক লীগের সভাপতি এম এ আলিম রানা, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ মহানগরের ইমদাদুল ইসলাম, ওমর করিম, করিমুল ইসলাম, সালমান রশিদ অভি, নাঈম মোহাম্মদ নিশান প্রমুখ।