শিশুকে কাঁদালেই মিলবে পুরস্কার

অনলাইন ডেস্ক

প্রতিবছর জাপানে পালিত হয় ব্যতিক্রমী এক উৎসব ‘নাকি সুমো’। এ উৎসব ৪০০ বছরের পুরোনো। উৎসবে শিশুদের আনা হয় কাঁদানোর জন্য। গোটা জাপানেই বেশ আয়োজন করে পালিত হয় এটি।

অবশ্য অঞ্চলভেদে পাল্টে যায় উৎসবের ধরণ। কথিত আছে, শিশুদের অশুভ আত্মার হাত থেকে বাঁচাতে সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় দেশটিতে এই উৎসব পালন করা হয়। এই উৎসবের একটি প্রতিযোগিতায় কুস্তিগিরেরা নানারকম মুখভঙ্গি ও আওয়াজ করে শিশুদের ভয় দেখায়। যে শিশু প্রথম কেঁদে ওঠে সেই বিজয়ী ঘোষিত হয়। পুরোদস্তুর প্রথাগত পোশাক পরা সুমো রেফারি কাঠের ফ্যান তুলে সংশ্লিষ্ট বাচ্চাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

জাপানের সেনসোজি মন্দিরে সম্প্রতি অনুষ্ঠীত হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী ‘চাইল্ড সুমোস ক্রাই’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় ৬৪ জন শিশু অংশগ্রহণ করে। জাপানি বাবা-মায়েরা বিশ্বাস করেন যে এই উপলক্ষে কান্নাকাটি তাদের বাচ্চাদের সুস্বাস্থ্য বয়ে আনবে। টোকিওর সেনসোজি মন্দিরে ‘বেবি সুমো’স ক্রাই’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দুই শিশুকে সুমো রিংয়ে তাদের বাবা-মায়ের কোলে মুখোমুখি রাখা হয়। শোয়ের কর্মীরা দানব মুখোশ পরে বাচ্চাদের ভয় দেখানোর এবং তাদের কাঁদানোর চেষ্টা করেন।
হিসাই ওয়াতানাবে নামে এক জাপানি মা তার আট মাস বয়সী শিশুকে মন্দিরে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, শিশুদের কান্না শুনে আমরা তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা বুঝতে পারি। আমার সন্তান নার্ভাস হতে পারে। এ কারণে ইভেন্টে সে খুব বেশি কান্নাকাটি করেনি।

আসাকুসা ট্যুরিজম ফেডারেশন এই বেবি সুমো কান্না প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। ফেডারেশনের চেয়ারম্যান শিগেমি ফুজি বলেন, কেউ কেউ হয়তো মনে করতে পারেন শিশুদের এভাবে কান্নাকাটি করা ভয়ানক। কিন্তু জাপানে আমরা বিশ্বাস করি, একটি শিশু যত জোরে কাঁদবে, ততই সুস্থ হয়ে উঠবে।

সূত্র- দ্যা গার্ডিয়ান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights