হল-মার্ক কেলেঙ্কারি : তানভীর-জেসমিনের মামলার রায় ১৯ মার্চ

অনলাইন ডেস্ক

জালিয়াতির ঘটনায় হল-মার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম রায়ের নতুন তারিখ ধার্য করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন তানভীরের স্ত্রী ও হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা হল-মার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিযা, প্যারাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলাম, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক, সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার, সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন (বর্তমান ইন্টারকন্টিনেন্টাল) শাখার সাবেক সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি, প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ননী গোপাল নাথ, মীর মহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজউদ্দিন, এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান।
আসামিদের মধ্যে কারাগারে তানভীর, তুষার, জেসমিনসহ আটজন। জামাল ও আলতাফ জামিনে। পলাতক সাইফুল ইসলাম, মতিন, হুমায়ুন, গোপাল, তসলিম, সাইফুল হাসান, মেহেরুন্নেসা ও জাকারিয়া।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, হল-মার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে সেদিন দুদকের পক্ষ থেকে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে থেকে নিয়ে আরও দু’জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর ওই দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। সাক্ষ্য গ্রহণ, আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায় প্রচারের জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।

জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় হল-মার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ৪ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে হোটেল শেরাটন (বর্তমান ইন্টারকন্টিনেন্টাল) শাখা থেকে হল-মার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে দায় (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা।

তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ১১ মামলায় হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর, তার ভায়রা তুষারসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ২০১৬ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ১১টি মামলা বিচারের জন্য পরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এ বদলি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Verified by MonsterInsights