স্ট্রবেরি চাষ করে সাড়া ফেলেছেন মেহেদী
ফেনী প্রতিনিধি
গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে সাদা ফুল, সবুজ কাঁচা ফল আর পাকা লাল স্ট্রবেরি। আর এই স্ট্রবেরি ফেনী শহরে প্রথম বারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছে তরুণ উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী কয়েক বছর ধরে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন লাভজনক ফসল আবাদ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ফেনী পৌরসভার হাজারী রোড সংলগ্ন উত্তর চাড়িপুর এলাকায় ৩৫ শতাংশ জমিতে এবার আমেরিকান ফেস্টিভ্যাল জাতের স্ট্রবেরির হাইভ্যালু ক্রপ সংগ্রহ করে রোপণ করেন। গত বছরের নভেম্বর মাসে জয়পুরহাট থেকে স্ট্রবেরির চারা কিনে তার জমিতে রোপণ করেন।
চারা রোপণের ৭০-৮০ দিনের মধ্যে ফল বিক্রির উপক্রম হয়। বর্তমানে তার বাগানে ২ হাজারের অধিক স্ট্রবেরির গাছ আছে। বিদেশি জাতের এই ফল আবাদ করে ফেনীতে বেশ আলোচিত হয়েছেন মেহেদী হাসান। বর্তমানে ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও আগে তার ক্ষেত থেকে প্রতি কেজি ১২০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা করে বিক্রি করেছেন।
একদিকে যেমন তিনি লাভবান হচ্ছেন, অন্যদিকে এই বাগানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে অনেকের। এ ছাড়াও মেহেদী এবার উন্নত ও হাইব্রিড জাতের টমেটো, রঙিন ফুলকপি পাশাপাশি স্ট্রবেরিসহ বিভিন্ন জাতের বিদেশি সবজি বিক্রি করছে।
অরবিন নামে এক যুবক বলেন, স্ট্রবেরি একটি বিদেশি ফল। আমাদের ফেনীর মাটিতে এত সুন্দর ফল হবে। তা কখনও কল্পনা করিনি। দাম একটু চড়া হলেও এই ফল খেতে বেশ সুস্বাদু।
স্থানীয় রবিউল হক বলেন, আমি এই গ্রামের একজন কৃষক। আমি মেহেদী হাসানের স্ট্রবেরি দেখতে আসলাম। মেহেদীর এই উদ্যোগ দেখে আমিও আগামী বছর স্ট্রবেরি চাষ করব।
মেহেদীর স্ট্রবেরি বাগান দেখতে আসা সাজ্জাদ মিরাজ বলেন, এই ফলের নাম অনেক শুনেছি। কিন্তু সরাসরি দেখিনি। আজ দেখলাম ও খেলাম। স্ট্রবেরি ফলটি খেতে অনেক সুস্বাদু লাগল।
তরুণ উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান বলেন, আমি আধুনিক পদ্ধতিতে প্রথম স্ট্রবেরি চাষ করেছি। এই স্ট্রবেরি আবাদ করতে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশা করি এখানে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে। তবে স্ট্রবেরি চাষে কৃষি অধিদপ্তরের কোনো প্রকার সহায়তা পাননি বলেও জানান তিনি।
ফেনী কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ একরাম উদ্দিন বলেন, ফেনী শহরের বুকে স্ট্রবেরি চাষের কথা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। এর পূর্বে স্ট্রবেরি ফার্মটির কথা সম্পর্কে অবগত ছিলাম না বিধায় পরিদর্শন সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুতই কৃষক মেহেদীর সাথে যোগাযোগ করে স্ট্রবেরি ফার্মটি ঘুরে আসার কথা জানান তিনি।