বগুড়ায় প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
বগুড়ায় বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে ধর্মঘটে নেমেছেন জেলার চিকিৎসকরা। প্রাইভেট ক্লিনিকের চেম্বার বন্ধ রাখলেও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চিকিৎসকরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। পরবর্তী ঘোষণা না এলে মঙ্গলবারও (১৮ জুলাই) এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রসূতি এবং নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক গেফতারের প্রতিবাদে সারাদেশে প্রাইভেট চেম্বার ও চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করে অবস্ট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনিকোলজিকাল সোসাইটি বাংলাদেশ (ওজিএসবি)। এই ঘোষণার সাথে দেশের সব চিকিৎসক সংগঠন একাত্বতা ঘোষণা করেছেন।
বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া, কলোনী, মফিজপাগলার মোড়, নামাজগড়, ছিলিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় চার শতাধিক ক্লিনিক রয়েছে। এসব ক্লিনিকে প্রতিদিন পাঁচ সহস্রাধিক রোগীর বিভিন্ন বিষয়ে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। প্রাইভেট ক্লিনিকের চেম্বার বন্ধ রাখায় এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিতে এসে হয়রানীর শিকার হয়েছে। পরে উপায় না পেয়ে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় রোগীদের।
বগুড়া শহরের কলোনী এলাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের ডিউটি ডা. নাফিউজ্জামান জানান, জরুরী রোগী দেখা হচ্ছে। মুমূর্ষ রোগীকে নিয়ে কাজ করি। অনেক সময় সংকট হয়। আমরা চেষ্টা করি রোগী বাঁচানোর। কিন্তু তারপরও কোন ঘটনায় রোগী মারা গেলে তার পূর্ণ তদন্ত না করে গ্রেফতার করা যাবে না। আইনের বাহিরে কেউ না। কিন্তু সেটির প্রক্রিয়া রয়েছে।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. পল্লব কুমান সেন জানান, কোনো ডাক্তার রোগীকে মারার জন্য চিকিৎসা দেয় না। সুতরাং হুট করে কোনো চিকিৎসকে গ্রেফতার করা ঠিক হবে না। এই সময়ের মধ্যে কোনো রোগী আসলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন।