চেয়ারম্যানের মেয়েকে প্রক্সির সুযোগ, কেন্দ্র সচিব-হল সুপারকে অব্যাহতি
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালের বাকেরগঞ্জে দায়িত্বে অবেহেলার অভিযোগে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান ও হল সুপার বাদশা আলমগীর খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
চিঠিতে জানা যায়, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় বাকেরগঞ্জ জেএসইউ মডেল হাই স্কুল কেন্দ্রের বর্ধিত ভবনের ২ নম্বর রুমে হিমি নামের এক শিক্ষার্থী (রোল নং-৮০১৬৩৫) পরীক্ষা দেয়। মঙ্গলবার রসায়ন পরীক্ষার দিন হিমির পিছনের একটি সিটে কলেজ পড়ুয়া বোরকা পরিহিত একটি মেয়ে হিমির উত্তরপত্র লিখে দেয়। পরীক্ষার্থী হিমির মা উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান তহমিনা বেগম মিনু পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার কন্যার (হিমি) রুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সত্যতা যাচাইয়ে ওই কক্ষে প্রবেশের আগেই কেন্দ্র সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও হল সুপার প্রক্সি মেয়েটিকে কক্ষ থেকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। পরীক্ষার হলের আসন বিন্যাসেও সত্যতা পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
নামপ্রকাশে একাধিক পরীক্ষার্থী জানায়, অন্যান্য পরীক্ষায়ও হিমির উত্তরপত্র লিখে দেয় প্রক্সি মেয়েটি। কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
কেন্দ্র সচিব মো. হাবিবুর রহমানের কাছে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিটপ্লান স্যারেরা করেছে। অভিযুক্ত হিমি নামের ওই পরীক্ষার্থীর পিছনের সিটটি ফাঁকা কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একজন পরীক্ষার্থীর পেছনে যদি অন্যকেউ বসে তার খাতায় লিখে দেয় তার ব্যর্থতার দায় কেন্দ্র সচিবের। অভিযোগ পাওয়ার পর কেন্দ্র সচিব মো. হাবিবুর রহমান ও হল সুপার বাদশা আলমগীর খানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।