রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সব কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের এক বছরের আহবায়ক কমিটির মেয়ার শেষ হচ্ছে আজ। ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর সম্মেলন ছাড়াই মো. শাহিন শেখকে সভাপতি ও মো. জাহিদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্র থেকে কমিটির অনুমোদন দেন তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। অনুমোদিত সেই কমিটিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয় আরফানুল হক অন্তরকে।
আজ ৮ অক্টোবর শেষ হচ্ছে এক বছর মেয়াদী তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মেয়াদ।
রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের ৫টি উপজেলা, ৩টি পৌর ও ৪২টি ইউনিয়নের সবগুলো কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। এক বছরে জেলার কোন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন শেষ করতে পারেনি বর্তমান কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘ সময়কালে রাজবাড়ীর কোন ইউনিটে হয়নি সভা-সমাবেশ। করতে পারেনি কোন ইউনিট কমিটির সম্মেলন। অভিযোগ রয়েছে গ্রুপিং, দ্বন্দ্ব ও স্বজনপ্রীতির কারণে সাংগঠনিকভাবে অকার্যকর এই কমিটি।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগ দৃশ্যমান কোন সাংগঠনিক কর্মকান্ড করতে পারেনি। সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তৌফিক খানকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। বিয়ে করেছেন রাজবাড়ী সদর ও পৌর ছাত্রলীগের দুই নেতা। নতুন কমিটির জন্য অপেক্ষা করছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতাকর্মীরা। রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগে রয়েছে কোন্দল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশা এক নেতা বলেন, রাজবাড়ীতে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ প্রায় অকার্যকর। কয়েক বছর ইউনিয়ন ছাত্রলীগে কোন ধরণের সভা-সমাবেশ হয়না। সভাপতি-সম্পাদকের পদ ধরে রাখতেই ঢাকার কর্মসূচী সফল করতে নেতাকর্মীরা সেখানে যায়। অনেক ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি-সম্পাদক সংগঠন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের এসব কর্মকান্ড প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ জেলা ছাত্রলীগের নেতারা এসব কর্মকান্ডের দায় এড়াতে পারে না।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদ মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ইউনিয়ন অথবা ওয়ার্ড পর্যায়ে কোন ধরণের সভা অথবা কমিটি করতে পারিনি। তবে উপজেলা ও জেলায় মোট ৫টি বর্ধিত সভা করেছি। আমাদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব নাই। তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপের কারণে আমাদের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। এই মাসের শেষে হয়তো আমরা জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারবো।