লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে যুবক আহত
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলারের কাছে বিএসএফের গুলিতে লিটন মিয়া (১৮) নামে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পরিবারের দাবি বিএসএফ তাদের সন্তানকে গুলি করে হত্যা করে লাশ নিয়ে গেছে।
যদিও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বিএসএফ লিটনকে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে গেছেন এবং তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। লিটন মিয়া দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের মোকছেদুল ইসলামের ছেলে।
মোকছেদুল ইসলাম বলেন, ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানা কৈমারী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা আমার ছেলেকে গুলি করেছে। আমার ছেলেটা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। বিএসএফ সদস্যরা ওর মরদেহ ভারতে নিয়ে গেছে।
লিটনের মা দুলালী বেগম বলেন, আমার ছেলেকে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে মেরে ফেলেছে। আমার ছেলের লাশ পড়ে আছে ভারতে।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নবীকুল ইসলাম বলেন, বিএসএফ’র গুলিতে লিটন নামের এক যুবক মারা গেছে এটা আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি। আমরা বিজিবিকে অনুরোধ করছি যাতে লিটনের মরদেহ দ্রুত আমাদের ফেরত এনে দেন।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দীঘলটারী ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার সাঈদুর রহমান বলেন, লিটন মিয়া ভারত থেকে গরু আনার সময় বিএসএফের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।
লালমনিরহাট -১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল মো. মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক লিটন মিয়াকে বিএসএফ কুচবিহারের এমজেএম নামে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছে। বর্তমানে তার শারীরিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার প্রথম প্রহর তথা রাত ৩টার দিকে ৪০/৫০ জন গরু ব্যবসায়ী দূর্গাপুর সীমান্তে গেলে বিএসএফ তাদেরকে চলে যেতে বলে। এসময় তারা উল্টো বিএসএফের উপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে বিএসএফ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়ে। এতে লিটন মিয়া নামে একজন বাংলাদেশি যুবক গুলিবিদ্ধ হন।